শীতে স্বাস্থ্য সমস্যা ও সমাধান

শীতে স্বাস্থ্য সমস্যা ও সমাধান

শীত ঋতু মানেই যে খুব আরামের সময় তা কিন্তু না। শীতে ভোগতে হয় নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায়। কারণ শীতে পরিবেশের তাপমাত্রা ওঠানামার কারণে মানব দেহের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বিঘ্নিত হয়। এতে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে, বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণরা বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে।

. রক্তনালিতে সংকোচন হয়ে হাত,পা ঠান্ডা হয়ে যায়।

. শীতের কারণে শরীরে কাঁপুনি হয়। এতে কাজ করার ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়।

. শীত শরীরের মাংসপেশিকে দুর্বল করে তোলে।

. শীতের কারণে স্নায়ুর নমনীয় হওয়ার ক্ষমতা কমে যায়; অনুভূতি শক্তি কমে যায়।

. শীত হৃদপিণ্ডের গতি কমিয়ে দেয়, হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক স্পন্দন ঘটিয়ে মৃতঝুঁকি বাড়ায়।

. শরীরের বিপাকীয় ক্ষমতা কমে যায়। এতে দেহের তাপমাত্রা কমে যায়।

. এ সময় কম তাপমাত্রার কারণে রক্তনালী সরু হয়ে যায়। এতে উচ্চ রক্তচাপ হয়।

. দেহের বিভিন্ন গাঁটের নড়াচড়ার ক্ষমতা কমে যায়। গাঁট শক্ত হয়ে যায়। গাঁটের পিচ্ছিল উপাদান ঘন হয়ে ব্যথা বাড়ে।

শীতে সাধারণত যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা হয়

গলা ব্যথা: গলা ব্যথা ভাইরাস জনিত সমস্যা। গলা ব্যথা কমাতে কুসুম গরম পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড়া করলে অনেকটাই আরাম মিলবে।

অ্যাজমা, আলার্জির ঝুঁকি বাড়ে: শীতের বাতাসে প্রচুর ধুলাবালি, অ্যালার্জি উৎপাদনকারী উপাদান থাকে। এতে শ্বাসকষ্ট তৈরি হয়। তাই শীতে বাড়তি যত্ন হিসেবে ধুলাবালি থেকে দূরে থাকুন। বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করুন।

বাতের ব্যথা বাড়ে: শীতে শরীরের বিভিন্ন গাঁটে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। এতে বাতের ব্যথা বাড়ে। তাই শীতে নিয়মিত শরীর চর্চা করুন।

হার্ট অ্যাটার্কের ঝুঁকি বাড়ে: শীতে রক্তচাপ বাড়ে। এতে হার্টের পেশির কর্মদক্ষতা কমে গিয়ে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হয়। তাই শীতে নিজেকে গরম রাখতে পর্যাপ্ত শীত পোশাক পরুন।

শীতকালীন ডায়রিয়া থেকে বাঁচুন: শীতে ভাইরাস ঘটিত ডায়ারিয়া থেকে বাঁচতে বাসি, পচা ও অস্বাস্থ্যকর খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন।

শুষ্ক ত্বক থেকে বাঁচুন: শীতে আর্দ্রতা কমে যায়। তাই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচতে গোসলের পর মশ্চরাইজার ব্যবহার করুন। বেশি করে ভিটামিনযুক্ত সতেজ শাক সবজি খান।

শীতে ফ্লু থেকে বাঁচুন: ফ্লু ঘটিত ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি শীতের প্রচলিত স্বাস্থ্য সমস্যা। তাই মুখে রুমাল দিয়ে হাঁচি-কাশি দিন। কিছুক্ষণ পর পর সাবান দিয়ে হাত ধোন। ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন। বেশি করে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খান। সুস্থভাবে শীত উপভোগ করুন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment